কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না - ক্ষোভে পদ ছাড়তে চান পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ‍্যক্ষ

22nd December 2020 10:44 pm বর্ধমান
কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না - ক্ষোভে পদ ছাড়তে চান পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ‍্যক্ষ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : দপ্তরের নামেই কর্মাধ‍্যক্ষ । কোনো কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না । সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে অন‍্য জন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন । এমনকি কর্মাধ‍্যক্ষ কে বাদ দিয়ে মিটিং হচ্ছে । মিটিং হয়ে যাওয়ার পর জানা যাচ্ছে বৈঠক হয়ে গেছে । এই ভাবেই আর কর্মাধ‍্যক্ষ পদে থাকতে চাই না বলে সরাসরি ক্ষোভ উগড়ে দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিশু ও নারীকল‍্যাণ দপ্তরের কর্মাধ‍্যক্ষ মিঠু মাঝি । শুধুমাত্র জেলা পরিষদের সদস‍্য হয়ে তিনি থাকতে চান । তৃণমূল কর্মী হিসাবে দলের কাজ করবেন । যেভাবে প্রতিনিয়ত তাকে অপমান করা হচ্ছে এরপর আর তিনি কর্মাধ‍্যক্ষ পদে থাকতে চান না বলে জানিয়েছেন মিঠু মাঝি । শুভেন্দু অধিকারীর মত এক ই কথা উচ্চারণ করেছেন তিনি " মানুষের কাজ করতে গেলে পদ লাগে না " । তবে তিনি তৃৃণমূলেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন । তিনি আরো বলেন , অর্থ বিভাগের মিটিং হবার পর রেজুলেশন করা হচ্ছে । একদিন পরেই সেই রেজুলেশন বেপাত্তা হয়ে যাচ্ছে । অন‍্য কাগজ চলে আসছে সেই জায়গায় । মিঠু মাঝি বলেন , নিজের যোগ‍্যতায় তিনি এই জায়গায় এসেছেন । পেটে বিদ‍্যে রয়েছে । রোজ রোজ সরকারের গাড়ির তেল খরচ করে আসবো আর ক‍্যান্টিনে খেয়ে বাড়ি চলে যাবো সেইভাবে কাজ করতে চাই না । কর্মাধ‍্যক্ষ পদে তিনি আর থাকবেন না বলে জানিয়েছেন । যদিও এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়ার । তিনি বলেন , প্রতিটি কর্মাধ‍্যক্ষ ই নিজের মত করে তার দপ্তরের কাজ করেন । তবে তিনি মিঠু মাঝির এই বক্তব‍্যের বিষয়ে কিছুই জানেন না । তার কাছে লিখিতভাবে কোনো কিছু জানানোও হয় নি । যদি জানান আলোচনা করে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন । তবে জেলা পরিষদের কর্মাধ‍্যক্ষের এই বিদ্রোহ নতুন অস্বস্তি জেলা পরিষদের অন্দরমহলে । বিদ্রোহী কর্মাধ‍্যক্ষ মিঠু মাঝি এও বলেন , প্রতিটা কর্মাধ‍্যক্ষের ই এক অবস্থা । কেউ নিজের কাজ করতে পারেনা । কেউ মুখ খোলে না । আমি আজ বলছি , পরে সবাই বলবে ‌ ।মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকেও জানানো হয়েছে আগে সমস‍্যার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেন নি বলে জানান ক্ষুব্ধ কর্মাধ‍্যক্ষ ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।